22 জানুয়ারি 2025

জিম্বাবুয়ের সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ হয় নেদারল্যান্ডসের কাছে: এক বছর আগে

ঠিক এক বছর আগে, জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি হতাশাজনক অধ্যায় রচিত হয়েছিল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সুপার টুয়েলভের সেই ম্যাচটি ছিল তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার শেষ সুযোগ। তবে ক্রেগ এরভিনের নেতৃত্বাধীন দল সেই সুযোগটি কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ৫ উইকেটে পরাজিত হয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা।

আশার শুরু এবং শেষ

জিম্বাবুয়ে তাদের সুপার টুয়েলভ যাত্রা শুরু করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক পয়েন্ট নিয়ে, যা মূলত বৃষ্টির কারণে ভাগ্যের সহায়তায় এসেছিল। এরপর তারা ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দিয়ে শক্তিশালী পাকিস্তানকে পরাজিত করে। সেই জয়ের পর তাদের সেমিফাইনালে যাওয়ার স্বপ্ন জাগিয়ে তুলেছিল। তবে পরবর্তী ম্যাচেই বাংলাদেশ তাদের নাটকীয়ভাবে হারিয়ে সেই স্বপ্নে ফাটল ধরায়।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থতা

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল জিম্বাবুয়ের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই। ১১৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই স্থিরভাবে খেলতে থাকে নেদারল্যান্ডস। ম্যাক্স ও’ডাউডের দুর্দান্ত ইনিংস এবং টম কুপারের সাথে তার ৭৩ রানের জুটি দলকে জয়ের পথে নিয়ে যায়। যদিও শেষ দিকে মাত্র ২৬ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল তারা, তবে লক্ষ্য সহজ হওয়ায় কোনো বড় বিপদে পড়েনি ডাচরা। ১২ বল হাতে রেখেই তারা ম্যাচ জিতে নেয় এবং জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপ যাত্রার ইতি ঘটে।

ব্যাটিংয়ে বড় ব্যর্থতা

অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ এরভিন। তবে সেই সিদ্ধান্ত তাদের জন্য ভুল প্রমাণিত হয়। দলের তারকা ব্যাটার সিকান্দার রাজা ছাড়া কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই মাধভেরেকে বোল্ড করে নেদারল্যান্ডসের ভ্যান মিকেরেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম আঘাত হানেন।

পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে জিম্বাবুয়ে। এরপর সিকান্দার রাজা এবং শন উইলিয়ামস দলকে সামলানোর চেষ্টা করেন এবং ৪৮ রানের জুটি গড়েন। তবে তাদের জুটি ভেঙে যাওয়ার পর পুরো ইনিংসটাই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ২৪ বলে ৪০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে রাজা দলের মান রক্ষা করার চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না।

এক বছর পরের প্রতিফলন

এই ম্যাচটি থেকে জিম্বাবুয়ে একটি বড় শিক্ষা নিতে পারে। ম্যাচটি দেখিয়েছিল, বড় মঞ্চে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের অভাব কিভাবে একটি সম্ভাবনাময় দলকে পিছিয়ে দিতে পারে। তাদের জন্য এটি ছিল শুধুমাত্র একটি ম্যাচ নয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য শক্তিশালী পরিকল্পনা তৈরির একটি সুযোগ।

এই স্মরণীয় ম্যাচটি এখনও ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আছে, বিশেষত জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থকদের জন্য। এটি প্রমাণ করে, প্রতিটি মুহূর্ত এবং প্রতিটি সুযোগ কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটের মঞ্চে।